w

বাংলাদেশ, ই-কমার্স এবং কিছু কথা

টিউন করেছেনঃ | প্রকাশিত হয়েছেঃ February 23, 2015 | টিউন বিভাগঃ
ই-কমার্স নিয়ে কম বেশি সবারই ধারনা আছে। বাংলাদেশে ই-কমার্স নিয়ে অনেকই বেশ আগে থেকেই শুরু করলেও বিভিন্ন কারণে তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি বা নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে। কিন্তু গত ৩ বছরে এই সেক্টর টি অনেক পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হয়েছে। তৈরি হয়েছে নতুন প্রজন্মের জন্য নতুন বিজনেস ও জব এর ক্ষেত্র। এসেছে অনেক বিদেশি বিনিয়োগ সাথে গড়ে উঠেছে ই-কমার্স ব্যাবসায়িদের অ্যাসোছিয়েশন [ই-ক্যাব]। যদিও কোন লিখিত হিসাব না থাকলেও ই-কমার্স, এম-কমার্স, এফ-কমার্স সব মিলিয়ে প্রায় হাজার তিনেক এর বেশি হবে এবং এই লিস্ট দিনে দিনে বড় হচ্ছে। হাতে গোনা কয়েকটি বাদে সবাই প্রায় ড্রেস ও ফ্যাশন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছে।




বাংলাদেশ ১৬ কোটি মানুষের দেশ যার বেশির ভাগ মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে ৩জি সেবা। এখন হয়ত গড়ে ১ বা ২% লোক অনলাইন এ নিয়মিত কেনা কাটা করছে কিন্তু এই সংখ্যা খুব দ্রুতই ডাবল ডিজিট হবে কিন্তু ভাবছেন কেন এবং কিভাবে? কিছু বাস্তব ও সহজ উদাহরণ দিচ্ছি- ধরুন আপনি একটি Casio এর একটি অরিজিনাল ঘড়ি খুঁজছেন বা অনেক দিনের ইচ্ছা কেনার কিন্তু আপনি থাকেন ঢাকার বাইরে এবং আপনার শহরে আপনার পছন্দ মতো ঘড়িটি খুঁজে পাচ্ছেন না। তাহলে আপনার বিকল্প কি কি? একদিন সময় নিয়ে ঢাকায় এসে মার্কেট এ মার্কেট এ খুঁজে দরদাম করে কেনা আরেকটি অপশন হচ্ছে অনলাইন এ খোঁজা আর পেয়ে গেলে অনলাইন এ অর্ডার করা [এখানে দেখতে পারেন একবার] আর পরের দিন প্রোডাক্ট টি হাতে পাউয়া। তো এখন আপনার কাছে কোন অপশন টি বেশি গ্রহণ যোগ্য সেটি আপনার বিবেচনা। কিন্তু আপনি কি সত্যিই একটি দিন আর ৫০০ কিংবা ১ হাজার টাকা খরচ করে ঘড়িটি কেনার পক্ষে ভোট দেবেন যদি এর মধ্যে আরও ২+২ ঘণ্টার জ্যাম এর কথা মনে পরে যায়?

এখন কথা হল অনলাইন এ কার কাছ থেকে কিনবেন, তাকে/ তাদের কে কি বিশ্বাস করা যায়? তারা যদি টাকা নিয়ে প্রোডাক্ট না দ্যায় কিংবা দিতে যদি ১ মাস লেগে যায় বা খারাপ প্রোডাক্ট দ্যায় তাহলে তো সম্পূর্ণ টাকাই মাটি তাই ভাবছেন তো? কিন্তু ঐযে শুরুতেই বললাম [ ... অনেক পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হয়েছে] এখন এইরকম কোন সমস্যা হলে আপনি অভিযোগ করতে পারবেন এবং পাবেন যথাযথ সল্যুশন ও। সবচাইতে ভালো যদি আপনি এই অ্যাসোছিয়েশন এর লিস্টেড কোম্পানি গুলোর কাছ থেকে কেনেন। ই-ক্যাব এর লিস্টেড কোম্পানি গুলো দেখতে ও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন. এখানে হয়ত আবার ভাবতে পারেন তাদের ই বা কিভাবে বিশ্বাস করবেন, উত্তর একটিই ই-ক্যাব এর সকল মেম্বার কে অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স ধারী হতে হয়। কেউ ইচ্ছা করলেই ই-ক্যাব এর মেম্বার হতে পারেনা। আর একটি কথা দাম এর ব্যাপারে, অনলাইন এ খুব সহজেই কোন সাইট এ কত প্রাইস তা দেখে নিতে পারেন আর এখন কম্পিটিশন এর যুগ তাই সবাই চেষ্টা করে বেস্ট প্রাইস টিই অফার করতে।

যেহেতু এই সেক্টরটি অনেক সম্ভাবনাময় তাই প্রয়োজন হবে অবেক দক্ষ লোকের ও তার মধ্যে প্রয়োজন হবে- দক্ষ কন্টেন্ট রাইটার, দক্ষ অনুবাদক, দক্ষ কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি, ওয়েব ডেভেলপার, ফটোগ্রাফার, গ্রাফিক ডিজাইনার, মডেল, সাপ্লাই চেইন, মার্কেটিং, ম্যানেজমেন্ট সহ আরও হাজারো রকমের। একসময় টেলিকমুনিকেশন এ জব একটি হট কেক ছিল কিন্তু এখন সেই সেক্টরটি সেছুরেটেড নতুন জব এর পরিবর্তে হচ্ছে কর্মী ছাটাই। নতুন এই সেক্টর টি তে নিজের একটি ভালো পজিশন তৈরি করতে আপনি কতটা প্রস্তুত?

ভালো লাগলে বা এই বিষয়ে আরও জানতে আগ্রহী হলে কমেন্ট এ জানান নিশ্চয়ই আরও [পর্ব করে] লিখার উৎসাহ পাব। ধন্যবাদ সবাইকে।

Previous
Next Post »

Pages

Design by MD BELAL

Powered by Blogger